চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় আরও ৮ জন গ্রেফতার
চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- রাজিব ভট্টাচার্য্য, রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ, মনু, রাজীব প্রকাশ ডান্ডি সুমন, ববি চৌধুরী, কৌশিক চৌধুরী, আবির দে, রবিন দাশ, জুয়েল দাশ ও অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৫ জনকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে। আইনজীবীদের আদালত বর্জন, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি: আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়া হত্যার প্রতিবাদে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘চিন্ময়কে প্রিজনভ্যানে তোলার পর পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মি, বিজিবি উপস্থিত থাকলেও তাদের ডাকা হয়নি। প্রিজনভ্যানে চিন্ময় দাসের হাতে পুলিশের হ্যান্ডমাইক কীভাবে গেলো? পুরো ঘটনার পেছনে পুলিশের ইন্ধন রয়েছে।’ মানববন্ধনে অংশ নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নিপীড়নবিরোধী আইনজীবী সমাজ ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্রদের বিক্ষোভ: ইসকন সমর্থক কর্তৃক চট্টগ্রামের সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। এতে ইসকনকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে মুসলিম হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু স্কুলের নামে মুসলিম শব্দ উল্লেখ থাকায় ইসকন সদস্যরা স্কুলে হামলা করে। এই হামলা শুধু স্কুলের ওপর আক্রমণ নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচিতির ওপর আঘাত। হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ সময় তারা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে হত্যার বিচার দাবি করেন। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় বিক্ষোভ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা এবং মসজিদে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাটহাজারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আইনজীবী হত্যাকারী ও মসজিদে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ইসকনবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বক্তারা বলেন, তারা কোনো ব্যক্তি স্বার্থে বা রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ইসকন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে এখানে জড়ো হয়েছে। তারা হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে নয় বরং সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে। এদিকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গুনিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘মুসলিম তৌহিদী জনতা’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের চন্দ্রঘোনা আধুর পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ফেরীঘাট দোভাষীবাজার প্রদক্ষিণ করে লিচুবাগান সিএনজি ষ্ঠেশন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এএজেড/এমআরএম/জেআইএম
চট্টগ্রামের তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় আরও ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যার দায়ে এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তারা হলেন- রাজিব ভট্টাচার্য্য, রুমিত দাশ, সুমিত দাশ, গগন দাশ, নয়ন দাশ, বিশাল দাশ, আমান দাশ, মনু, রাজীব প্রকাশ ডান্ডি সুমন, ববি চৌধুরী, কৌশিক চৌধুরী, আবির দে, রবিন দাশ, জুয়েল দাশ ও অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, আদালতে সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ১৫ জনকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে।
আইনজীবীদের আদালত বর্জন, পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি:
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়া হত্যার প্রতিবাদে আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘চিন্ময়কে প্রিজনভ্যানে তোলার পর পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আর্মি, বিজিবি উপস্থিত থাকলেও তাদের ডাকা হয়নি। প্রিজনভ্যানে চিন্ময় দাসের হাতে পুলিশের হ্যান্ডমাইক কীভাবে গেলো? পুরো ঘটনার পেছনে পুলিশের ইন্ধন রয়েছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নিপীড়নবিরোধী আইনজীবী সমাজ ও অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্রদের বিক্ষোভ:
ইসকন সমর্থক কর্তৃক চট্টগ্রামের সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে। এতে ইসকনকে সন্ত্রাসী উল্লেখ করে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে মুসলিম হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু স্কুলের নামে মুসলিম শব্দ উল্লেখ থাকায় ইসকন সদস্যরা স্কুলে হামলা করে। এই হামলা শুধু স্কুলের ওপর আক্রমণ নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচিতির ওপর আঘাত। হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় তারা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে হত্যার বিচার দাবি করেন। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়ায় বিক্ষোভ
সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকদের হাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা এবং মসজিদে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে হাটহাজারী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আইনজীবী হত্যাকারী ও মসজিদে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ইসকনবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। বক্তারা বলেন, তারা কোনো ব্যক্তি স্বার্থে বা রাজনৈতিক কারণে নয় বরং ইসকন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে এখানে জড়ো হয়েছে। তারা হিন্দু ভাইদের বিরুদ্ধে নয় বরং সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে।
এদিকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে এবং আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গুনিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘মুসলিম তৌহিদী জনতা’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কের চন্দ্রঘোনা আধুর পাড়া থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি ফেরীঘাট দোভাষীবাজার প্রদক্ষিণ করে লিচুবাগান সিএনজি ষ্ঠেশন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এএজেড/এমআরএম/জেআইএম