শেয়ার করে যা বলল আওয়ামী লীগ মেহজাবীনের ঘটনা
চট্টগ্রামে একটি শো-রুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী।মেহজাবীন শো-রুম উদ্বোধনে আসার খবরে ‘ব্যবসায়ী-তাওহীদি’ জনতার ব্যানারে একদল মানুষ প্রতিবাদ জানান। যে কারণে সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আঁচ করতে পেরে ওই শো-রুমটি উদ্বোধন করতে যাননি এই অভিনেত্রী।
সরকার পতনের পরে ৫ আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট তুলে ধরে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের ভাষ্য, অথচ তারা সেদিন নাকি স্বাধীন হয়েছিলেন! আগে পরাধীন ছিলেন কেন, সেটার কথা বলেননি কাওকেই।
এরপর মেহজাবীনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সেই পোস্টে লেখা হয়, জনগণ মুচকি হাসছে! আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।
এই ঘটনার পরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীন জানান, আমার সকল বন্ধু-বান্ধব, পরিবার এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য। আমি ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছি এবং নিজের বাসায় আছি, চিন্তার কিছু নেই।
এদিকে মেহজাবীনের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যেখানে গত ৫ আগস্ট মেহজাবীনের দেওয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস ও শনিবারের চট্টগ্রামের ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৯ অক্টোবর ‘খুকি লাইফস্টাইল’ শো-রুম উদ্বোধনের কথা জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তা দেন চট্টগ্রামেরই মেয়ে মেহজাবীন চৌধুরী। এসময় চট্টগ্রামের সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগের কথা জানান তিনি।
অভিনেত্রীর এই ঘোষণা আসার পর থেকে শহরজুড়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। মেহজাবীনকে দিয়ে দোকান উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় রিয়াজউদ্দিন বাজার সর্বস্তরের ব্যবসায়ী ও তাওহীদি জনতার ব্যানারে।
সেই ব্যানারটি রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করেন। যেখানে লেখা ছিল, চিত্রনায়িকা মেহজাবিন চৌধুরীকে নিয়ে উদ্বোধনের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শো-রুম কর্তৃপক্ষ যদি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে ব্যবসায়ী ও তাওহীদি জনতা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।