তারেক রহমানের ২৯ মামলা খারিজ, একটিতে স্থায়ী জামিন

Nov 3, 2024 - 00:13
Nov 3, 2024 - 00:45
 0  12
তারেক রহমানের ২৯ মামলা খারিজ, একটিতে স্থায়ী জামিন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের পর থেকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে ৮০টির বেশি মামলা করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ, মানহানি, নাশকতা, গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির অভিযোগে করা এসব মামলার মধ্যে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯টি মামলা ইতোমধ্যে বাতিল-খারিজ হয়ে গেছে।

বিএনপি বরাবরই বলে আসছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত হয়ে এসব মামলাগুলো করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সব মিলিয়ে ৮০ থেকে ৮২টি মামলা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫ আগস্টের পর হাইকোর্ট বিভাগে ৫টা মামলা আইনগতভাবে বাতিল করে দেন।

তিনি আরও বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় এক বা দুটি মামলার এফআইআরে তারেক রহমানের নাম ছিল। কিন্তু গ্রেপ্তারের পর কারাবাস দীর্ঘায়িত করতে অন্য মামলায় শ্যোন অরেস্ট দেখানো হলো।  

গত ২৩ আগস্ট চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর পৃথক দুটি থানায় করা চারটি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ২০০৭ সালে গুলশান থানায় তিনটি ও ধানমন্ডি থানায় করা একটি মামলাসহ ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমানের করা পৃথক আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এ রায় দেওয়া হয়।  

ওই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০০৭ ও ২০০৮ সালে হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন তারেক রহমান। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল অ্যাবসলিউট (চূড়ান্ত) ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার এ রায়গুলো প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত কত মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে কায়সার কামাল বলেন, তারেক রহমান কিন্তু প্যারোলে বিদেশ যাননি। তিনি জামিন নিয়ে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৫ আগস্টের পর হাইকোর্ট বিভাগ একটি মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন। এটি এনবিআরের একটি মামলা। সে মামলাটাও স্টে আছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২৯টা মামলা বাতিল বা খারিজ করেছেন। তার কারণ হচ্ছে যেমন, এ বি সিদ্দিক মানহানি মামলা করেছেন। তিনি আর জীবিত না। অনেক আওয়ামী লীগ নেতা মামলা করেছেন। কিন্তু আদালতের সামনে তারা আসেননি। বছরের পর পর সমন দেওয়ার পরও আসেননি। এ জন্য মামলাগুলো খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। 

ওই চার মামলার মধ্যে, রেজা কনস্ট্রাকশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব উদ্দিন ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা সৈয়দ আবু শাহেদ সোহেল চাঁদাবাজির অভিযোগে একই বছরের ৪ মে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নূরউদ্দিন অপুকে আসামি করে ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভূঁইয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। ঠিকাদার মীর জাহির হোসেন ২০০৭ সালের ১ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি করেন। এই চার মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে তারেক রহমান পৃথক চারটি আবেদন করেছিলেন।