রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত হলো নফল রোজা সেহরি খাওয়ার পড় থেকে দিনের শেষ ভাগে মনে মনে পড়লেই রোজার নিয়ত করা হয়ে যাবে। নফল রোজার নিয়ত ঠিক ফরজ রোজার মতই নিয় করলেই হবে। এই নফল রোজা আমরা বছরের যে কোন সময় পালন করতে পারি আমরা।
আরও: রোজার নিয়ত বাংলা অর্থ সহ এখানে দেওয়া হলো।
বাংলাতে নফল রোজার নিয়ত :
আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। এভাবে পড়লেই হয়ে যাবে। যারা আরবি পাড়েন তারা ঐটায় পড়ায় উত্তম।
নিয়ত মানে হলো কোন কাজ করার মন মানসিকতা তৈরি করাকে বুঝায়। নিয়ত শুধু মুখে বলতে হবে তা না, মনে মনে বা ইচ্ছে করলেই আদায় হয়ে যাবে। রোজার কোন সমস্যা হবে না।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১; তিরমিজি, হাদিস : ৬৮৩)
তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে- যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রোজার আরবি নিয়ত:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ :
নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রমজান মাস ছাড়া রোজা রাখার নিয়ত রোজা রাখার জন্য নিয়ত কিভাবে করবেন সেটা জরুরি নয় আপনি আরবিতে রোজা রাখার নিয়ত করলেন নাকি বাংলা উচ্চারণে নিয়ত করবেন সেটা মূল বিষয় নয় তবে আপনি রোজা রাখার জন্য নিয়ত করলেন কিনা সেটাই মূল বিষয় যে কোনভাবেই হোক রোজার নিয়ত করা অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোজার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ নিচে দেওয়া হলো-
রোজা রাখার নিয়ত বাংলা উচ্চারণ
বাংলা উচ্চারণঃ– নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আংতাস সামিউল আলিম।
রোজা রাখার জন্য আমরা যে নিয়ত করে থাকে অনেকে জানতে চাই এর বাংলা অর্থ কি তাই আজকে আপনাদের মাঝে রোজার নিয়ত এর বাংলা অর্থ আলোচনা করা হলো-
বাংলা অর্থঃ- হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল তোমার পক্ষ থেকে পবিত্র রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজার নিয়ত
সাহরির পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে-
– بِصَوْمِ غَدٍا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان
উচ্চারণ : বিসাওমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।
অর্থ : আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।
নিয়ত সম্পর্কিত কিছু জরুরি কথা-
আরবি কিংবা বাংলায় মুখে নিয়তের উচ্চারণ বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে আল্লামা শামি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
ফাতাওয়ায়ে শামিতে উল্লেখ করেছেন-
‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’। আর ‘মনের দৃঢ় সংকল্পকে’ আজম বলা হয়।
রোজা রাখার জন্য নিয়ত ফরজ- এ বিষয়টি অনেকে জানে-ই না। তাই অনেকে রোজার নিয়ত মুখে বলা বা মনের সংকল্প কোনোটিই করেন না। আবার মুখে রোজা প্রচলিত নিয়ত তথা আরবি ও বাংলা শব্দগুলো উচ্চারণ করে অন্তরে রোজা রাখার দৃঢ় সংকল্প না থাকলে তা নিয়ত হবে না। তাই রোজা রাখার বিষয়টি অন্তরের দৃঢ় সংকল্পে থাকতে হবে।
রোজা ভঙ্গের কারণ কী কী?
সুতরাং মূল কথা হলো- রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত করতে হবে। মুখে উচ্চারণ করার পরও অন্তরে একনিষ্ঠ সংকল্প রাখতে হবে। তবেই রোজা আদায় হবে।
রোজার নিয়ত করার সময়
ফরজ রোজার নিয়ত সাহরির পর রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। হজরত হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।’ (আবু দাউদ)