জন্ম নিবন্ধন - bdris.gov.bd

বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে 2024

Rate this post

 

 

বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র pdf, জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪, বিস্তারিত ভাবে প্রতিনিয়ত আপডেট পাবেন আজকের দক্ষিন পত্রিকায়।

বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

শিশুর বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
শিশুর পিতা-মাতার জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি)।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত অনুলিপি।
হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি অথবা ইউ.পি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি।
আবেদনকারীর (শিশুর) ১ পাসপোর্ট সাইজ কপি ছবি।
শিশুর বয়স ৪৫ দিন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত হলে জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
ইপিআই কার্ড (টিকা কার্ড) -এর সত্যায়িত ফটোকপি অথবা ইপিআই কর্মীর প্রত্যয়নপত্র।
হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি অথবা ইউ.পি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি
শিশুর পিতা-মাতার জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি)।

আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অবস্থা

আবেদনকারীর (শিশুর) ১ পাসপোর্ট সাইজ কপি ছবি।
বয়স ৫ বছরের বেশি হলে জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
উপযুক্ত চিকিৎসক কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র, অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র, অর্থাৎ পি.এস.সি/জে.এস.সি/এস.এস.সি অনুরূপ পরীক্ষার সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি অথবা ইউ.পি ট্যাক্স পরিশোধের রশিদের ফটোকপি
পিতা-মাতার জতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি অথবা পিতা-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি)।
আবেদনকারীর ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
জন্ম তথ্য প্রদানকারী কারা?
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী শিশুর পিতা বা মাতা বা অভিভাবক শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধকের নিকট প্রদানের জন্য দায়ী থাকবেন।

জন্ম নিবন্ধন ফি এর তালিকা

আবেদনকারীর বয়স জন্ম নিবন্ধন ফি
আবেদনকারীর বয়স ৪৫ দিনের কম হলে ফ্রি / বিনামূল্যে
আবেদনকারীর বয়স ৪৫ দিনের বেশি হলে প্রতি এক বছর বয়সের জন্য ১০ টাকা হারে ফি নেওয়া হয়।

অর্থাৎ, আবেদনকারীর বয়স ১ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন ফি (১*১০) = ১০ টাকা।

আবেদনকারীর বয়স ২ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন ফি (২*১০) = ২০ টাকা।

আবেদনকারীর বয়স ৫ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন ফি (৫*১০) = ৫০ টাকা।

আবেদনকারীর বয়স ১০ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন ফি (১০*১০) = ১০০ টাকা।

 

এছাড়া যারা কোনো ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের নিকট তথ্য প্রেরণ করতে পারবেন:

১) ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সচিব;
২) গ্রাম পুলিশ;
৩) সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভার কাউন্সিলর;
৪) ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার কল্যাণকর্মী;
৫) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেক্টরে নিয়োজিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের (এনজিও) মাঠকর্মী;
৬) কোনো সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিক বা মাতৃসদন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে জন্মগ্রহণের ক্ষেত্রে উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার অথবা ডাক্তার বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা;
৭) নিবন্ধক কর্তৃক নিয়োজিত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী;
৮) জেলখানায় জন্মের ক্ষেত্রে জেল সুপার বা জেলার বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;
৯) পরিত্যক্ত শিশুর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা;
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করবেন?
জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী ব্যক্তির জন্মস্থান বা স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমানে বসবাস করছেন এমন যেকোনো স্থানের নিবন্ধকের কাছে জন্ম নিবন্ধন করানো যাবে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য যারা নিবন্ধক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন:

বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে
বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে

বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন বয়সের শিশুর জন্ম নিবন্ধন
শিশুর টিকা দানের কার্ড / হাসপাতালের ছাড়পত্র
বাসা বাড়ির টেক্স টোকেন / কর পরিশোধের রশিদ
অভিভাবকের সচল মোবাইল নাম্বার
পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (অপশনাল)
পিতা মাতার আইডি কার্ড (অপশনাল)
শিশুর বয়স ৪৬ থেকে ৫ বছর হলে জন্ম নিবন্ধন করতে যা যা লাগবে
শিশুর টিকা দানের কার্ড / হাসপাতালের ছাড়পত্র
পিতা মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)
পিতা মাতার এনআইডি কার্ড
বাসা বাড়ির টেক্স টোকেন / কর পরিশোধের রশিদ
পিতা-মাতা/ অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
বয়স ৫ বছরের বেশি হলে
চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র
প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
পিতা মাতার স্থানীয় ঠিকানার কর পরিশোধের রশিদ
অথবা জমি বা বাড়ি ক্রয় করার দলীল বা খাজনা প্রদানের রশিদ
পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি (যদি থাকে)
পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি (যদি থাকে)
বয়স প্রমাণের জন্য চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী)

১) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য;
২) পৌরসভার মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
৩) সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর;
৪) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা; ও
৫) বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসারগণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসমূহে সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান কার্যালয়ে এবং নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে পুরাতন পৌরসভা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ জন্ম নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করছেন।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম

আপনি কিন্তু এখন চাইলে ঘরে বসেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। কিন্তু আমাদের অনেকেরই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে ধারনা না থাকায় আমরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি। আপনারা যাতে কয়েক ক্লিকেই জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন, সেজন্য অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম -গুলো তুলে ধরা হলো:

  • অনলাইনে নতুন জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করতে প্রথমেই যেকোনো ব্রাউজার থেকে https://bdris.gov.bd/br/application ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। সেখানেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের অপশন পেয়ে যাবেন। এরপরের অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম -গুলো খুবই সহজ।
  • ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনি কোন এলাকার কার্যালয় থেকে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে চান তা নির্বাচন করুন। সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার বর্তমান ঠিকানা অথবা স্থায়ী ঠিকানা বাছাই করতে পারবেন। আপনার জন্ম দেশের বাইরে হলে বাংলাদেশের দূতাবাস নির্বাচন করুন। এইসব নির্বাচিত এলাকার কার্যালয় থেকেই আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

এরপর আপনাকে একটি ফরম পূরণ করতে হবে।

ফরমের প্রথমে আবেদনকারীর নামের দুটি অংশ ইংরেজিতে ও বাংলায় দুইভাবেই লিখতে হবে। ইংরেজিতে লেখার সময় অবশ্যই ইংরেজি বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন নামের দুটি অংশ আলাদা আলাদা লিখতে হবে। তবে আপনার নামের যদি একটি অংশই থাকে, যেমন আলিফ, তাহলে ১ম অংশ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় অংশে নামটি লিখুন।
স্টার মার্কগুলো অবশ্যই লিখতে হবে।
তারপর নিবন্ধনকারীর জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
জন্মতারিখের পরের ঘর দুটিতে যথাক্রমে নিবন্ধনকারীর পিতামাতার কত তম সন্তান সেটি এবং নিবন্ধনকারীর লিঙ্গ উল্লেখ করতে হবে।
তারপর নিবন্ধনকারী শিশুর জন্মস্থানের ঠিকানা লিখতে হবে।

এইভাবে ধাপ গুলো পূরন করবেন

জন্ম নিবন্ধন ফি

শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। শিশু জন্মের ২ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন না করালে বাবা-মায়ের জন্য জরিমানা আছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনরকম ফি ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া হয়। এ সময় বাড়ানো হয়েছিল ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে দেশের অধিকাংশ শিশু জন্ম নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। জুনের পর জন্মনিবন্ধনের জন্য সরকার একটি ফি ধার্য করেছে। জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্তৃক নির্ধারিত জন্ম নিবন্ধন ফি এর তালিকা উপরে দেওয়া আছে।

Tag: বড়দের জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য ডাক্তারের প্রত্যয়ন পত্র pdf, জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজ লাগে ২০২৪, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে কি কি লাগে, জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম ডাউনলোড pdf, জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ, জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি লাগে ২০২৪,

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button